Android Apps Review Website

অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়

earn with app

গুগল থেকে বিশাল একটা এমাউন্ট ইনকাম করে নেওয়া যায় অ্যাপ তৈরি করে। আনেক ডেবোলপাররাই জানে না আর তাই তাদের ইনকামও তেমন ভালো হয় না। আজ আপনাদের সে পদ্বতি গুলো নিয়ে কথা বলবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে বিশাল একটা এমাউন্ট নিজের পকেটে পুড়ে নিতে পারবেন।

বলা হয় গুগল থেকে টাকা ইনকাম করে নেওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ইউটিউব। (ইউটিউব মনিটাইজেশণ করার পদ্বতি) আর তার পরে বলা হয় ওয়েবসাইট তৈরি করে কন্টেন্ট দ্বারা ইনকাম করার কথা। (এডসেন্স এ দ্রুত এপ্রুভ হওয়ার অভিনব কৈশল)

হ্যাঁ, ওগুলো থেকে সহজে ইনকাম করা যায় তবে যুদি কথা আসে সবচেয়ে বেশী এমাউন্ট টাকা কোনটি থেকে ইনকাম করা য়ায়। উত্তর হলো অ্যাপ তৈরি করে গুগল প্লে স্টোর থেকে।

অনেকে ভাবতে পারেন অ্যাপদিয়ে এত বেশী কী ভাবে ইনকাম করার সম্ভব?

আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আমি এই লেখাতে দিবো আর এরি মাঝখানে আপনাদের অ্যাপ দিয়ে আরও বেশী ইনকামের পদ্বতি গুলো নিয়েও বলবো।

অ্যাপ দিয়ে ইনকাম

অ্যাপ দিয়ে ইনকাম কথাটি আসলেই আসে এড মোব এর কথা। ১০০ জন যুদি ডেবোলপার হয়ে থাকে তবে তাদের মধ্যে ৬০ জনই শুধু এড মোব এর কথা জানে। আর এ ৬০ জনই এ এড মোব এর পেছনে ছুটছে।

আর বাকী যে ৪০ জন তাদের মধ্যে ২০ জনই ভালো রিসার্স না করে হুট করে অ্যাপ তৈরি করে তা প্লে স্টোরে পাবলিশ করার পর থেকে তেমন ইনকাম করতে পারছে না। কারণ তারা সুধু নিজেদের পছন্দ মতো অ্যাপ তৈরি করে রেখেছে আর ইউজারদের কথা ভুলেও মাথায় আনে নি।

শেষ মেষ ২০ জন থেকে যায় যাদের মধ্যে ১০ জন সাক্সেস হাই ইনকাম করে নিতে পারে আর বাকি ১০ জন কোনো রকম ইনকাম করে নিজেদের সফল মনে করতে থাকে।

আমি যে টপিক গৃুলো বলবো সেগুলো কোনো প্রো টপিক না বা কোনো কৈাশনও না এগুলো হলো পদ্বতি যা প্রত্যেকটা অ্যাপ ডেবোলপারদের জানা দরকার।

আপনি কত টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন অ্যাপ দিয়ে

AdMob earnings

অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম করার জন্য অসংখ্য প্লাটফরম আছে। তবে সে সব প্লাটফরমগুলোর থেকে গুগল হলো সবচেয়ে আলাদা আর ডেবোলপার ফ্রেন্ডলি একটি প্লাটফরম আর প্রায় সে বল প্লাটফরম থেকে বেশী সুযোগ সুবিধা এতে এড করার আছে।

আর এখন কার মোবাইল ফোন ইউজাররা অ্যাপ ডাউনলোড মানেই গুগল প্লে স্টোরকে বুঝে। আর এ ইউজারইইতো মূলত ডেবোলপারদের সাক্সেস এর চাবি কাঠি।

একটা পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে এন্ড্রোয়েড ডেবেলপাররা প্লে স্টোর থেকে মাসে ৫০০০ ডলারের চেয়েও বেশী আয় করে নিতে পারে।

গুগলে পেমেন্ট কী ভাবে কাজ করে

গুগলের পেমেন্ট যে ভাবে কাজ করে তা একটু দেখে নিন:

  • পেইড এপ্লিকেশন এর ক্ষেত্রে: এপ্লিকেশনটি কিনতে ইউজাররা যেটাকা গুগলকে দিবে তা ৩০ দিনের মধ্যে ডেবোলপারের একাউন্টে যেগ হয়ে যাবে।
  • আর গুগল থেকে ডেবোলপার যা আয় করে তা ৭০:৩০ এ নিয়ম মেনে হয়ে থাকে। যার মানে আপনার অ্যাপ দ্বারা আপনি যা ইনকাম করবেন তার ৩০ ভাগ গুগল রাখবে আর ৭০ আপনার একাউন্টে এড করবে।

৮ টি পদ্বতি এন্ড্রোয়েড অ্যাপ দিয়ে গুগল থেকে আয় করার

  1. ইন অ্যাপ পারচেস (In-App purchasing)
  2. ইন অ্যাপ এডভারটাইজিং ( In-App Advertising)
  3. সাবসক্রিপশন (subscription)
  4. অ্যাপ যা একাধিক ডিভাইসে রান করে (app that runs on multiple devices)
  5. স্পন্সার (sponsor)
  6. ফ্রিমিয়াম (Freemium)
  7. আপনার কম্পাটিটারদের রিসার্স করুন (Research your competitors)
  8. লাভনিয় কেটাগরি খুজে বের করুন (find the profitable categories)

ইন অ্যাপ পারচেস (In-App purchasing)

বিশেষ করে গেইম অ্যাপ গুলোতে ইন অ্যাপ পারচেস বেশি দেখা যায়। এটা খুবি পাওয়ারফুল একটি অপশন ডেবোলপারদের জন্য অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করার। ইন অ্যাপ পারচেস এর মাধ্যমে ডেবোলপাররা কিছু বিষেশ ফিচার এড করে থাকে ইউজারের একাউন্টে।

ইউজাররা বিভিন্ন পেমেন্ট ম্যাথোড ইউজ করে থাকে ইন অ্যাপ পারচেজ এর জন্য। ডেবোলপাদের মাথার এটা রাখা দারকার আর ইউজারদের জন্য বিভিন্ন এভেলাবল আপশন রাখা দরকার।

একটা সাধারণ একজেম্পল দেওয়া যায় ইন গেম পারচেস এর সেটি হলো কেন্ডি ক্রাশ। ক্যান্ডি ক্রাশ গেমটি মাত্র একদিনে ৮০০০,০০০ ডলার ইনকাম করে শুধু মাত্র ইন অ্যাপ পারচেস এর থেকে।

ইন অ্যাপ এডভারটাইজিং ( In-App Advertising)

ইন অ্যাপ এডভারটাইজিং হলো আর একটি পাওয়াফুল আপশন অ্যাপদিয়ে টাকা ইনকামের। বিভিন্ন কম্পানি আছে যারা অ্যাপ থেকে পণ্য ক্রয় এর আফার করে থাকে। আর এর বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন মডেল ব্যবাহর করে। সিপিসি এদের মধে একটি যার ফুল মিনিং কস্ট পার ক্লিক।

ইন অ্যাপ এডভারটাইজিং এর মানে হলো এ কম্পানি গুলো আপনার অ্যাপে অফার করা বিষয়গুলোর সাথে মিল রেখে তারা পণ্য আফার করবে যার তারা তাদের বিজ্ঞাপনে দেখবে আপনার অ্যাপে।

আর বিনিময়ে আপনি তাদের থেকে একটা ভালো এমাউন্ট নিয়ে নিতে পারবেন।

সাবসক্রিপশন (subscription)

সাবসক্রিপশনের অপশনটি বিভিন্ন কম্পনির জন্য সাক্সেসের একটি বড় করাণ হয়ে দারিয়েছে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় নেট ফ্লিক্স এর কথা যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন মুভি দেখে নিতে পারেন।

ঠিক এটা অণুসরণ করে আপনারাও সাক্সেস ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনার অ্যাপে এন প্রগ্যাম এড করবেন যা সত্যিই খুবি গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে ইউজারদের কাছে আর তারা আপনার সাবসক্রিপশন কিনে রাখবে।

আর মানথলি সাবসক্রিপশন দ্বারা আপনি প্রতিমাসে একটা ভালো এমাউন্ট নিয়ে নিতে পারবেন আপনার অ্যাপ নতুন ইউজাররা ডাউনলোড করুন আর না করুক।

অ্যাপ যা একাধিক ডিভাইসে রান করে (runs on multiple devices)

ধরুন আপনি একটি অ্যাপ তৈরি করে নিলেন আর সেটা শুধু এন্ড্রোয়েড ডিভাইস সাপোর্টেড। নিশ্চিত ভাবে আপনি আন্য ডিভাইস গুলোর ইউজারদের হারিয়ে ফেলবেন। আর তাই এটা মাথায় রেখে আপনার অ্যাপ তৈরি করতে হবে। আর তাছারা গ্রাফিক, রেজুলুশন এসবি মাথায় রাখতে হবে।

তবেই আপনি একটা বিশাল পাবলিকেশন পেয়ে যাবেন আপনার অ্যাপ এর জন্যা। আর তার পাশা পশি আপনি ভালো একটা এমাউন্টও নিয়ে নিতে পারবেন গুগল থেকে।

স্পন্সার (sponsor)

অ্যাপের জন্য স্পন্সারশিপ তৈরি করাটাও অ্যাপ থেকে টাকা ইনকামের আরও একটি চমৎকার মাধ্যাম।

আর আপনার অ্যাপের জন্য স্পন্সার খুজের বের করারজন্য এন্ড্রোয়েড মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার অ্যাপলিকেশনটির সেমিলার সার্ভিস অফার করে এমন একটি কম্পানি খুজে বেরকরুন। আর তারপার আপনি স্পন্সারশিপে জয়িন করুন।

এর মাধ্যরে আপনার অ্যাপের জন্য ইউজার সংখ্যা ধিরে ধিরে বাড়তে শুরু করবে।

ফ্রিমিয়াম (Freemium)

মনিটাইজেশনের এ মোডটি খুবি মজার। ফ্রিমিয়াম এর মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পানি তাদের অ্যাপগুলোর এডভান্স ভার্সন ইউজারদের অফার করে। এত করে ইউজাররা তাদের টাকা আপনার অ্যাপের পেছনে খারচ করবে।

এটা খুবি বিখ্যাত আর জনপ্রিয় একটি মাধ্যম অ্যাপ থেকে টাকা ইনাকাম করার। ফ্রিমিয়ামে প্রিমিয়াম প্রগ্যামগুলো লক করা থাকে আর আর এটা একমাত্র তারাই ইউজ করতে পারে যারা অ্যাপে টাকা খরচ করে।

আপনার কম্পাটিটারদের রিসার্স করুন (Research your competitors)

লাভনিয় কেটাগরি খুজে বের করুন (find the profitable categories) এটা খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর। কারণ এখানে ভুল করলে আপনার অ্যাপ কখনই লাভের মুখ দেখতে পাবে না। কারণ আপনাকে আগে আপনার কম্পাটিটর দের চিনতে হবে। আর তাদে অ্যাপগুলোতে অফার করা প্রগ্যামগুলোকে বুঝতে হবে।

আপনি আপনার প্রগ্যামে নতুন কী কী ফিচার এড করবেন এবং কী কী ফিচার ইউজাররা পেতে চায় সে বিষয়গুলি আপনাকে খুজে বের করতে হবে। আর তার জন্য আপানি আপনার কম্পাটিটরদের অ্যাপের রিভিউ পড়ে দেখতে পারেন।

কারণ বেশীর ভাগ ইউজাররা তাদের কোনো ফিচার প্রয়োজন বা কোনে ফিচার হলে তাদের জন্য আরও ভালো লাগতো তা রিভিউতে বলে রাখে।

লাভনিয় কেটাগরি বাছাই (proditable categoris)

অ্যাপ তৈরি কররা পূর্বে আপনার বোঝা দরকার যে কোন টাইপের অ্যাপ ইউজাররা পছন্দ করে। কোন কেটাগরির অ্যাপ ইউজাররা বেশী ইউজ করে। এখন আপনি একটি অ্যাপ তৈরি করলেন কোনো কেটাগরি যাচাই না করে, আপনার কখনই সাক্সেস হতে পারবেন না।

কারণ ইউজাররা তাদের প্রয়োজন অণুসারে অ্যাপ ডাউনলোড করে এবং ইউজ করে।

কিছু খুব পরিচিত কেটাগরি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম:

  1. সোসাইল মিডিয়া অ্যাপ (social media app)
  2. মিউজিক অ্যাপ (music related app)
  3. গেমস (games)
  4. বিজনেস এন্ড ফিনেন্স অ্যাপ (business and finance app)

প্লে স্টোরে (play store) অ্যাপ আপলোড

গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ আপলোড করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা গুলকে দিতে হয়। আর তার পরিমাপ হলো ২৫ ডালার। যার বংলা এমাউন্ট হলো ২৫০০ টাকার সমান বা এর কম।

আপনাকে মাসে মাসে এ টাকা জমা করতে হবে না। আপনি এ টাকা একবার পরিশোধ করে নিজেরর অসখ্য অ্যাপ আপনি আপলোড করে দিতে পারবেন। সেটা ৬ মাস পরে হলেও আপনি আপলোড করতে পারবেন কোনো টাকার প্রয়োজন হবে ন।

তবে মনে রাখবে আপনানে নিয়ম মতো অ্যাপ আপলোড দিতে হবে। নয়তো আপনার একাউন্টে সমস্যা আসতে পারে। এটা নতুন ইউজারদের জন্য।

প্লে স্টোরে আপলোড করার ছারাই ইনকাম

আপনার অ্যাপ দিয়ে আপনি প্লে স্টোরে আপলোড করা ছারাও ইনকাম করতে পারবেন। আর এটা তেমন কোনো কঠিন কাজ না।

এটা আপনি করতে পারবেন গুগলের এড মোব দ্বারা। আর আপনাকে এড মোবকে কোনো টাকা দিতে হবে না। এড মোব আপনি একদম ফ্রিতে ইউজ করতে পারবেন।

আর সেজন্য আপনাকে এড মোবে একাউন্ট করতে হবে। আর একাউন্ট করাটাও তেমন কোনো কঠিন কাজ না। একদম ইউটিউব এর মতো।

ইউটিইব এর মতো করেই আপনি আপনার পেমেন্ট ম্যাথোড এক করে থাকে।

অ্যাপ দিয়ে এড মোব (AdMob) থেকে ফ্রি ইনকাম

এড মোব (AdMob) দিয়ে ইনকাম করাটা যেমন সহজ তেমন একেবারে ফ্রি। আর তাছারা এড মোব আপনার অ্যাপে এড দেখানোর জন্য এড স্লথের কোড নিজেরাই করে দেয়।

আপনি তাদের থেকে জাবা এবং কোটলিন কোড পেয়ে যাবেন আপনার অ্যাপটির কোডে এড করার জন্য।

আর এর জন্য আপনাকে ২৫ ডলার খরচ করে প্লে স্টোরে অ্যাপ আপলোড করতে হবেনা। আপনার অ্যাপে এমনিতেই অ্যাপ সো হবে। আর আপনি যেকোনো অ্যাপ স্টোর ইউজ করতে পারবেন আপনার অ্যাপটির পাবলিকেশন এর জন্য।

ইউজাররা আপনার অ্যাপ ইউজ করার সময় এড আসলে আপনার ইনকাম হবে। আর আপনার ইনকাম আপনার অ্যাপে সো করা এড গুলো প্রাইজ মতোই হবে।

কারণ বিভিন্ন এড এর পেছনে এড প্রভাইডাররা বিভিন্ন মূল্য লাগিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন আপনার পছন্দের

ফ্রিল্যান্সিং কি জানুন এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখুন