Android Apps Review Website

১০ টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাইট

freelancing sites

ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাইট মানেই হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার এ ফ্রিল্যান্সিয় মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলেতে ইম্পুই সিকারা আসে আর নিজেদের কাজের জন্য একজন যোগ্য ইম্পুই খুজে এবং তবে সে কাজে নিয়োজিত করে।

এখণ এখানে কথা হলো এজন ফ্রিল্যান্সারে জন্য সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপুর্ণ হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। সুতার আপনার স্কিলের কোয়ালিটি তাতে আপনার এবেলিটি আণুসারে আপনাকে আবশ্যই একটা ভালো মার্কেটপ্লেস খুজে নিতে হবে।

কারণ সব মার্কেটপ্লেসে সবধরণের কাজের মূল্য একইরকম থাকে না। কোনোটাটে রাইটারের চাহিদা বেশী কিন্তু ইম্পুই কম আবার কোনোটাটে গ্রাফিক ডিজাইনারে সংখ্যা বেশী তবে কাজ করিয়ে নেওয়ার মতো সার্ভস সিকার নেই।

আর তাছার মার্কেটপ্লেস হাজার হাজার হলেও সব মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশীরা কাজ করতে পারে না। কারন বশীর ভাগেই পেমেন্ট ম্যাথোড থাকে পেপাল যা বাংলাদেশে সাপোর্টেড না। যার কারণে বাংঙ্গালিরা সে ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারে না।

সুতরাং শুধু মার্কেটপ্লেস চিনলেই হবে না জানতে হবে কোনটা বাংলাদেশের পেমেন্ট ম্যাথোড গুলে সাপোর্ট করে আর কোনগুরে করে না। এবং সবধরণের মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে সমান আয় হয় না।

এজন্যই আমরা আমাদের এ ব্লগে আপদের সামনে তুলে ধরবো ১০ জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলো যে গুলোতে কাজ করে আপনি ভালো আয় করে নিতে পারবেন এবং নিজের ব্যাংক একাউন্টে বা মাস্টাকার্ডে টাকা বিনা কোনো টেনশনে নিয়ে নিতে পারবেন।

সুতরাং ব্লগটি ভালো ভাবে পড়ুন আর জেনে নিন আপনা জন্য কোন মার্কেটপ্লেসটি ভালো হবে আর কোনটি একটু কস্টের হয়ে যাবে। তবে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকে আলোচনা।

Table of Contents

ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাইট

ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাইট মানেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। আর আপনি চাইলেই যে কোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করলেই যে হবে তা কন্তু নয়। কারণ হলো পেমেন্ট মেথোড আর আপনি কতটা প্রফেশনাল তার উপর।

আমি এখানে মোট ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বলবো এবং একজন বিগেইনার ফ্রিল্যান্সার বা একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার কোনটি বাছাই করা দরকার তা নিয়েও কথা বলবো।

১. ফাইবার (Fiverr)

বর্তমানের তরুন ফ্রিল্যান্সাররা আরকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস না চিনলেও ফাইবারকে নিশ্চই চিনবে। কারণ বলা হয় ফাইভার হলো সবচেয়ে সহজ আর বেশী ইনকামের একটা মার্কেটপ্লেস।

ফাইবার মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

এক কথায় ফাইবার একজন প্রফেশনালের জন্য যেমন হবে একজন বিগেইনারের জন্যও ঠিক তেমন হবে। কারন এখানে ক্লাইন্টকে প্রপজাল পাঠাতে হয় না। ক্লাইন্ট নিজেই আপনাকে খুজে বের করে আর নিজের কাজের প্রপজাল পাঠায়।

ফাইবারের কিছু বিষেশ বৈশিষ্ট

ফাইবার যে সুধুই একটা মার্কেটপ্লেস তা কিন্তু নয়। ফাইবারের আরও অনেক বিশেষ বৈশিষ্ট আছে। নিচে আমি সেগুলে নিয়ে আলোচনা করে রেখেছি।

ফাইবারের বৈশিষ্টগুলো হলো:

  • ফাইবার হলো একটি ইসরাইলি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যা কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস এর জন্য।
  • ফাইবার বিশ্বের সব দেশের ফ্রিল্যান্সার আর যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস নিয়ে থাকে তাদের সবার জন্য এলাউড।
  • ফাইবারে স্কিল ডেবোলপমেন্ট এর জন্য বা নতুন স্কিল শেখার জন্য কোর্স এর ব্যবস্থা করা আছে যার কারনে আপনি ফাইবারেই স্কিলের উপর কোর্স করে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।
  • ফাইবারে স্কিল টেস্টের একটি অপশন থাকে যাতে আপনি নিজেকে পরিক্ষা করে একটি পযেন্ট পাবেন যা আপনার কোয়ালিটি যারা ফ্রিল্যান্সার খুজে থাকে তাদের বুবতে সহজ করে দেয়।
  • ফাইবারে একজন ফ্রিল্যান্সারের ক্লাইন্টের পজেক্টের পেছনে কোনো প্রকার প্রপোজাল পাঠাতে হয় না। ক্লাইন্ট নিজেই আপনাকে খুজে নিবে।
  • গিগ আকারে নিজের একটা এপ্লিকেশণ আকার প্রপজাল আপনার স্কিল এর উপর তৈরি করে ফেলে রাখলেই যথেস্থ। এটা দেখেই ক্লাইন্ট আপনাকে অডার করবে বা আপনার সার্ভিস নেবার হলে আপনার সাতে যেগাযোগ করবে।
  • প্রত্যেকটি স্কিল টেস্টের আগে ফাইবার আপনাকে জানিয়ে দেয় আপনার টেস্টে কি কি টপিক থাকবে।
  • স্টেপ টু স্টেপ ফাইবার গাইডলাউন দিয়ে থাকে একজন বিগেইনার ফ্রিল্যান্সারকে একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠার জন্য।
  • একজন ফ্রিল্যান্সারের গিগ পাবলিশ করার জন্য তাকে অবশ্যই ইংলিশ স্কিল টেস্ট দিতে হয়। বর্তমানে এটা ফাইবারে নতুন পলিসি।
  • ফাইবারে কাজ করাটা সহজ হলেও ফাইবারে একটা ভয়ানাক সত্য হলো যেকোনো একাউন্টের উপর ফাইবার অফিসিয়াল কমিউনিটির সন্দেহ হলে তারা সে ফাইবার ইউজারকে ব্লক করে দেয় যার কারণে ইউজারকে নতুন একাউন্ট করে নিতে হয়। এটা একটা নতুন ইউজারের সাথে ফাইবার যেমন ঘটায় ঠিক তেমনি একজন পুরানো ইউজারের সাথেও ঘটায়।

যার কারণে বলা হয় ফাইবার ইউজ করাটা খুবি সহজ তবে ইউজ করতে থাকাটা খুবি জটিল। তবে ফাইবার এসব একাউন্ট ব্লক করার কাজটা ভেরিফাইড ইউজারদের সাথে করে না।

আর একজন ভেরিফািইড ইউজার হতে হলে আপনার জাতিয় পরিচয় প্রমান প্রত্র, আপনার নিজস্ব ব্য্যংক একাউন্ট, ফাইবার স্কিল টেস্ট এসব আপনার কম্পিলিট করা থাকতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই একজন এক্টিভ ইউজার হবে হবে।

ফাইবর যে ভাষাগুলো সাপোট করে:

  • ইংলিশ
  • স্পেনিশ
  • ফ্রান্স
  • ডাচ
  • পুরতুগিজ
  • ইতেলিয়ান
  • জার্মান

ফাইবার (Fiverr) রেজিস্টেশন

কাজ

ফাইবারে রেজিস্টেশন করাটা একদম সহজ বিষয়। ফাইবারে রেজিস্টেশন করার জন্য আপনাকে আপনার ইমেইল, ইউজার নেম, আর একটা স্টং পাসওয়ার্ড তৈরি করে নিতে হয়।

আর বাকি প্রফােইল তৈরির কাজ আপনাকে একাউন্টের ভিতর করতে হয়। ফাইবারে লিঙ্কটিতে নিচের বাটনটিতে ক্লিকরে সারাসরি যেতে পারবেন।

ফাইবার নিজের একটা অ্যাপও গুগল প্লে স্টোরে ডেবোলপ করে রেখেছে। আপনারা চাইলে তা ডাউনলোড করে নিতে পারবে আর অ্যাপেই নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

বিগেইনারদের জন্য ফাইবার একটা ভালো চয়েজ তবে একাউন্ট করে আয় করা শুরু করার আগে কোনো প্রফেশনালো সাহায্য নিয়ে নিলে বা একটা কোর্স করে নিলে বেশী ভালো হয়।

২. আপওয়ার্ক (Upwork)

আপওয়ার্কও ফাইবারের মতোই তরুনদের কাছে খুব পরিচিত। এটি বর্তমানে শীর্ষে থাকা মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে একটি। এটি বিশ্বব্যাপী পরিচিত এর বিশাল বিশাল পজেক্ট আর কাজের আফারের জন্য।

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসটি বিশেষ করে প্রফেশনালদের জন্য। আর জেনে রাখুন এটা বিগেইনারদের জন্য নয়। তবে একাউন্ট করতে কোনো নিষেধ নেই।

আপওয়ার্ক কিছু বিষেশ বৈশিষ্ট

আপওয়ার্ক একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আর এখানে বিশাল বিশাল রেটের পজেক্টের কাজ চলে। আর তাছার আপওয়ার্ক খুবি জটিল একটি মার্কেটপ্লেস। আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই খুবি দক্ষ একজন হতে হবে।

আপওয়ার্ক এর বৈশিষ্ট গুলো হলো:

  • আপওয়ার্ক এর সিকিউরিটি খুবি কঠিন
  • আপনাকে আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার হতে হলে একাউন্ট করার সময় একটি এপ্লিকেশন আপনাকে তাদের জমা করত হবে। আর সেটা এপ্রভ হওয়া পযন্ত আপনাকে অপেক্ষ করতে হবে। আর তারা আপনার এপ্লিকেশন রিজেক্ট করলে আপনি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ করতে পারবেন না।
  • ইংরেজিতে আপনাকে আবশ্যই খুবি ভালো হতে হবে
  • যে স্কিল সম্পর্কে আপনি নিজেকে দক্ষ বলবেন তা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে আর এপ্লিকেশনে লেখতে হবে।
  • আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ এর উপরে হতে হবে।

আপওয়ার্ক এর নিষিদ্ব দেশগুলো:

  • ইরান
  • নর্থ কোরিয়া
  • সিরিয়া
  • ক্রিমিয়া
  • রিজন আফ ইকরাইন
  • কুবা
  • ইনডেবিডুলাল নেশন আফ কুবা
  • এবং আরও কিছু দেশ যেগুলের ইউএস এর আইনদ্বারা নিষিদ্ব

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আপওয়ার্কএ জয়িন করতে পারবে। কারণ বাংলাদেশ ইউএস এর আইন দ্বার নিষিদ্ব না। তবে আপওয়ার্ক এর নিষিদ্ব দেশ গুলো থেকে কোনো ফ্রিল্যান্সার বা ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে চায় এমন কেউই জয়িন করতে পারবে না।

আবার এখানে আরও একটা কথা আছে এমন কেউ যে ওই দেশ গুলোতে ঘুতে গেছে আর ওই দেশর নাগরিক না তারাও আপওয়ার্কএ জয়িন করতে পারবে না। কারণ যখন মানুষ যে দেশে থাকে তখন তার নেটওয়ার্কে সে দেশেল আইটি কাজ করে।

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ওয়েব সাইটে যাবার হলে নিজের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। লিঙ্কটি আপনাকে সরাসরি আপওয়ার্ক এর সাইটে নিয়ে যাবে।

Upwork

আর তাছার আপনারা গুগল প্লে স্টোর থেকে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসটির অ্যাপও আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। নিচে আমি লিঙ্কটি দিয়ে দিলাম আপান লিঙ্কে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনি গুগলে চলে যাবেন।

আপওয়ার্ক তাদের সাপোর্ট প্রগ্যামে স্পস্ট ভাবে বলে দিয়েছে আপওয়ার্কএ তারা সবাই জয়িন করতে পারবে যাদের বয়স ১৮ এর উপরে (নিষিদ্ব দেশ গুলো ছারা প্রত্যেকে এপলাই করতে পারবে) তবে তারা এটাও বলেছে যারা জয়িন করবে তারা প্রত্যেকে যে এপ্রভ হবে তা কিন্তু নয়।

সুতরাং বুঝতেই পাচ্ছেন তারা প্রফেশনাল ছারা কাউকে এত সহজে তাদের কামিউনিটিতে লাইড করে না।

৩. ফ্রিল্যান্সার ডট কাম (Freelancer .com)

ফ্রিল্যান্সার ডট কম ফ্রিল্যান্সার হলো অস্ট্রোলিয়ান ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ওয়েব সাইট। যেটিতে কাজ পোস্ট করা আর সে কাজের উপর ফ্রিল্যান্সারদের বিড করার মাধ্যমে কাজ কম্পিল করা হয়।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

ফ্রিল্যান্সার ডট কম সবার জন্য উনমুক্ত। এখানে প্রফেশনালও জয়িন করতে পারে আবার বিগেইনাররাও খুব সহজে জয়িন করতে পারে। কারণ এখানে কোনো এপ্লিকেশন জমা করে এপ্রভ এর জন্য আপেক্ষা করতে হয় না আবার স্কিল টেস্টও দিতে হয় না।

ফ্রিল্যান্সার ডট কমের কিছু বৈশিষ্ট

ফ্রিল্যান্সার ডট কম তেমন কোনো জটিল সাইট না। এতে আপনি খুব সহজেই একাউন্ট করে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।

  • ফ্রিল্যান্সার ডট কমে আপনি সরাসরি জয়িন করতে পারবেন
  • ফ্রিল্যান্সার ডট কমে আপনাকে কোনো কঠিন ট্রামস এবং কন্ডিশন এর উপর পরতে হবে না
  • ফ্রিল্যান্সর ডট কমে বিড করার মাধ্যমে পজেক্ট হোল্ডাকে প্রপ্রোজাল পাঠাত হয়
  • একটা পজেক্টের পেছনে ১০০ও বেশী বিড থাকে
  • প্লেন আণুসারে বিড দেওয়া হয়ে থাকে
  • ফ্রি প্লে হোল্ডারকে প্রতি ৮ দিন পরে ৬টি করে বিড দেওয় হয়

যেমনটা বলেছিলাম ফ্রিল্যান্সার ডট কম একটি খুবি সহজ সাইট এটি ব্যবহারে কারও কোনো প্রকার বাধা বন্ধকতা নেই। আর বিগেনারদের জন্য এটা খুব আসাধারণ একটা মার্কেটপ্লেস। আনেক বড় বড় ফ্রিল্যান্সার এখান থেকেই নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ‍শুরু করেছে।

৪. পিপল পার আওয়ার (PeoplePerHour)

পিপল পার আওয়ার হলো একটা ইউকে বেইসড কম্পানি যেটি কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে। আর বর্তমানে এটি বেশ পরিচিত ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে।

পিপল পার আওয়ার মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

পিপল পার আওয়ার প্রফেশনালদের জন্য আবার বিগেইনারদের জন্যও। তবে আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর এর উপরে হতে হবে।

পিপল পার আওয়ার এর কিছু বৈশিষ্ট

পিপল পার আওয়ার সবার জন্য এলাও হলেও এর ট্রামস আর কন্ডিশন পেরিয়ে আনেক একাউন্টই এপ্রভ পযন্ত যেতে পারে না।

  • পিপল পার আওয়ারে লগইন করার পর ইউজার নিজের কাজ শুরু করতে পানে না
  • পিপল পার আওয়ারে ইউজারকে তার প্রফাইল ভেরিফাই করতে হয়
  • আপনার প্রফাইল পরিপূর্ণভাবে আপডেটেড হলে তারা আপনাকে এপ্রভ করবে
  • নিজের সঠিক ডিটেই দিতে হবে
  • যুদি আপনার এপ্লিকেশন ডিক্লাইন হয়ে যায় তবে তারা আপনাকে ইমেইল এর মাধ্যমে কারন পাঠাবে আর কারণ বুঝে ঠিক করে আবার এপ্লিকেশন পাঠাতে পারবেন

পিপল পার আওয়ার তেমন কঠিন কোনো কন্ডিশন রাখে নি যাতে এর থেকে এপ্রভ পাওয়াটা কঠিন হয়ে যায়।

তবে আপনাকে অবশ্যই নিজের জাতিয় পরিচয় পত্র এর স্কেন কপি, আপনার রিয়েল ফটো (পিপল পার আওয়ার কোনো প্রকার লোগো বা কম্পানি ফটো এলাও করে না) আপনার আইটি অণুসারে এড্রেস এসব ঠিকঠাক ভাবে দিলে আপনি এপ্রভ পেয়ে যাবেন আর একজন ভেরিফাইড ইউজার হয়ে যেতে পারবেন।

পিপল পার আওয়ার মার্কেটপ্লেসটিতে যাওয়ার জন্য নিজের লিঙ্কে ক্লিক করুন। লিঙ্কটি সারসরি আপনাকে পিপল পার আওয়ারে নিয়ে যাবে।

আপনারা চাইলে পিপল পার আওয়ার অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমি নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি।

পিপল পার আওয়ার থেকে একজন বিগেইনার ফ্রিল্যান্সার ভালোই ইনকাম করে নিতে পারে। আপনি বিগেইনার হলে পিপল পার আওয়ার থেকে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।

৫. বিহেন্স (Behance)

বিহেন্স হলো একটি সামাজিক মাধ্যম যেটি চালনা করে বা নিয়ত্রন করে এডোব। এডোব হলো একটা ডেবোলপার কম্পানি। এডোবি ফোটোশপ, এডোবি ইলুস্টারেট, এডোবি বুক রিডার এসব এডোবেরই ক্রিয়েশন।

বিহেন্স মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

বিহেন্স মার্কেটপ্লেসটি বিগেইনার এবং প্রফেশনাল উভয়েরই জন্য ভালো একটি মার্কেটপ্লেস।

বিহেন্স এর কিছু বৈশিষ্ট

বিহেন্স এডোব এর ডেবোলপ করা একটি সামাজিক মাধ্যম। তবে এখানে ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও ওয়ার্কার তারা এক্সেপ্ট করে।

  • বিহেন্সে একাউন্ট করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে এডব আইডি
  • এডব আইডি আপনার না থাকলে বিহেন্স ক্রিয়েট করে দিবে
  • আপনাকে আপনার প্রফাইল আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে গুছাতে হবে
  • আপনাকে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে হবে

বিহেন্সে এর পেমেন্ট ম্যথোড হলো ভিসা কার্ড। সুতরাং বাংলাদেশ থেকেও আপনি কাজ করতে পারবেন।

বিহেন্সে সরাসরি যাওয়ার জন্য নিচের লিংকটি ইউজ করুন।

বিহেন্স এর গুগল প্লে স্টেরের অ্যাপ লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। আপনারা চাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করেও কাজা করতে পারবেন।

বিহেন্স বিগেইনার দের জন্য একটা ভালো বাছাই হবে। আপনি আপনার ক্যারিয়ার বিহেন্স থেকে শুরু করতে পারবেন।

৬. গুরু (Guru)

গুরু হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যার হেডকুয়াটার ইউনাইটেড স্টেডে। একাট ফ্রিল্যান্সার আর ফ্রিল্যান্সার সিকার দের জন্য ভালো কাজ করে। অনেক বাংলাদেশীরা এখানে কাজ করছে বর্তমানে।

গুরু মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

গুরু বিগেইনার এবং প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার উভই ব্যবাহার করতে পারবে। শুধু একাউন্ট করেই কাজ শুরু করে দিতে পারবে।

guru

৭. নাইন্টি নাইন ডিজাইন (99designs)

নাইন্টি নাইন ডিজাইন হলো একটি আস্ট্রোলিয়ান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যা তৈরি করা হয়েছে গ্রাফিক ডিজাইনার এবং ক্লাইন্টদের যোগসূত্র তৈরি করার জন্য।

নাইন্টি নাইন ডিজাইন মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

নাইন্টি নাইন ডিজাইন মার্কেটপ্লেসটিতে বিগেইনার ফ্রিল্যান্সার এবং প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার উভই ব্যবাহার করতে পারবে।

99design

৮. ডিজাইন হিল (Designhill)

ডিজাইন হিল হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।

ডিজাইন হিল মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

ডিজাইন হিল মার্কেটপ্লেসটিতে বিগেইনার ফ্রিল্যান্সার এবং প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার উভই ব্যবাহার করতে পারবে।

designhill

৯. এসইও ক্লার্ক (seoclerk)

এসইও ক্লার্ক একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।

এসইও ক্লার্ক মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

এসইও ক্লার্ক মার্কেটপ্লেসটিতে বিগেইনার ফ্রিল্যান্সার এবং প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার উভই ব্যবাহার করতে পারবে।

seoclerk

১০. সিম্পলি হাইয়ারড (Simply Hired)

সিম্পলি হাইয়ারড হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।

সিম্পলি হাইয়ারড মার্কেটপ্লেসটি কাদের জন্য

সিম্পলি হাইয়ারড মার্কেটপ্লেসটিতে বিগেইনার ফ্রিল্যান্সার এবং প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার উভই ব্যবাহার করতে পারবে।

simplyhired

ই হলো ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এদেরমধ্যে ৫টিতে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে। তবে নিচে যে ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর কথা বলেছি সেগুলোতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা খুবি কম সংখ্যায় কাজ করে।

এবং এ সাইটগুলোতে আপনাকে কোনো প্রকার ভেরিফাইড ইউজার হবার বা এপ্রভ হবার কোনো ঝামেলাতে পরতে হবে না। আপনি একাউন্ট করে নিজের ডিটেইল ফিলআপ করে নিজের কাজে লেগে পরতে পারবেন।

যুদি বিগেইনার হয়ে থাকেন তবে আগেই ভালো সাইটে কাজ নেওয়ার চেস্টা না করে ছোট ছোট সাইট গুলোতে কাজ করে নিজের কাজের অবিজ্ঞতা তৈরি করে তার পর বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করা শুরু করুন। তবে খুব সহজেই ক্লাইনকে বুঝতে পারবেন আর নিজের সার্ভিস প্রভাইড করতে পারবেন।

আরও কিছু জানতে পড়ুন

আমাদের সাইটে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু নতুন নতুন এবং খুবি সহজ করে সবকিছুর রিভিউ তুলে ধরি। আর আমাদের রিভিওতে তুলে ধরা প্রত্যেকটি অ্যাপ, বই এবং সাজেশন সবগুলোই পরিক্ষিত আর আমরা সেগুতে কাজ করে তার পরই বিভিউ লিখি।