ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার best ভিডিও অ্যাপস

ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। আজ আমরা জানবো বাছাইকৃত কতগুলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে যেগুলে যেম মোবাইলে ব্যবহার করা যায় ঠিক তেমন লাপ্টপ কম্পিউটারেও ভিডিও এডিট করার কাজে ব্যবহার করা যায়।
ভিডিও অ্যাপস বলতে আমরা কতইনা ভিডিও অ্যাপস বুঝি। ভিডিও অ্যাপস দ্বারা আমরা বুঝি ভিডিও প্লেয়ার, এডিটিং সফ্টওয়ার , ভিডিও করার সফ্টওয়ার এই সব। তবে বর্তমানে ভিডিও প্লেয়ার তেমন ব্যাবহার কেউ করে বলে আমার মনে হয় না।
কারণ এখন বেশীর ভাগ মানুষই সরাসরি নেটের ভিতরে থেকে ভিডিও দেখে আর খুব কমই নিজের পছন্দের ভিডিও গুলি ডাউনলোড করে নিজে ফোনে রেখে দেয় আর ভিডিও প্লেয়ার ব্যবহার করে তা দেখে।
তবে মূল্যহীন হলেও আমি পূর্বের সময়ে বাজিমাত করে যাওয়া কিছু ভিডিও প্লেয়ার সম্পর্কে শেষের দিকে কিছু কথা বলবো আর তাদের গুগল লিংক আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।পূর্বের সময়ে বাজিমাত করে যাওয়া best ভিডিও প্লেয়ারস
তবে যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশী খোজা হয় সেটি হলো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। সেটা ফোনেই হোক বা ল্যাপ্টপ কম্পিউটারে।
কারণ মূলত আজকাল আমাদের যুব সমাজের একটা বড় সখ্যক অংশ ইউটিউব এর সাথে জরিত। শুধু তাই না ফেসবুক ইনকামের রাস্তা খুলে দেওয়ার পর এখনতো প্রত্যেকের মাথায় একি ভুত আর তা হলো একজন ভিডিও কন্টেন ক্রিয়েটর হওয়া আর নিজের কন্টেন্ট দিয়ে একটা ভালো এমাউন্টের টাকা অনলাইন থেকে পকেটে পুরে নেওয়া।
তবে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চলেছে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ডেবোলপার কমিউনিটি। তারা তাদের সফটওয়্যা যেমনই হোক একাটা প্রাইজ ট্যাগ বসিয়ে ইউজার দের কাছ থেকে নিয়ে নিয়েনিচ্ছে নিজের মূল্য।
তবে আজ আমি কতগুলো ফ্রি ভিডিও এডিটং সফটওয়্যার নিয়ে তালিকা তুলে ধরব। আমি মোট ৬ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার তুলে ধরবো। যাদের মধ্যে ৪টি থাকবে মোবাইলের জন্য আর বাকি ২ টি থাকবে ল্যাপ্টপ কম্পিউটারের জন্য।
Table of Contents
ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার for মোবাইল

ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ফ্রিতে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমরা সচরাচর যে সমস্যার সামনে পরি তা হলো ওয়াটার মার্ক। ওয়াটার মার্ক মূলত হলো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটির আইকন। আর এ ওয়াটার মার্ক দুর করতে হলে আমাদের সে সফটওয়্যার গুলোর কোনো একটা প্লেন কিনতে হয় টাকা দিয়ে।
শুধু ওয়াটার মার্কই সমস্যা না এখানে কথা হলো আপনি কোনো একটা প্লেন না কেনা পযন্ত কিছু নিদিষ্ট প্রগ্যামও ব্যবহার করতে পারবেন না।
কিন্তু আমার দেখানো অ্যাগুলো বা সফটওয়্যার গুলোতে দিনে আপনি আনলিমিটেড ভিডিও এডিট করে নিতে পারবেন। আর আপনার ভিডিওতে কোনো প্রকার ওয়াটার মার্কও থাকবে না। আর আপনাকে কোনো ফিচার ব্যবহারে বাধা দেওয়া হবে না।
সুতরাং লিস্টে রাখা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলি সম্পর্কে পড়ুন আর নিজের জন্য সেরাটা বাছাই করে আপনার ভিডিও এডিটিং শুরু করে দিন।
১. ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার – VN video editor

VN একটি একেবারে ফ্রি এইচটি ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার যার মধ্যে রাখা আছে সব ধরণের প্র ফিচার। VN একটি খুবি ইজি টু ইউজ ভিডিও এডিটর যা ডেক্সটপে ব্যবহৃত ভিডিও এডিটর থেকেও বেশী পাওয়ারফুল। VN ভিডিও এডিটর একজন প্রফেশনালের জন্য যেমন ইউজন করা যায় ঠিক তেমনি একজন বিগেইনারের জন্যও।
VN এর একটি বিষেশ বিষয় হলো এটি দিয়ে আপনি ভিডিও কেপচারের কাজও করে নিতে পারবেন।
VN video editor এর ফিচার গুলো দেখুন
সহজ ব্যবহার-
- যুম ইন/আউট টাইমলাইন
- স্পিলিট এর জন্য টেপ, ড্রাগ, ডিলিট এর ডুব্লিকেট ভিডিও ক্লিপ তৈরি
- ড্রাফ্টে সেভ করে রাখা আর যখন প্রয়োজন এর উপর কাজ করা
প্রফেশনাল-
- মাল্টি লেয়ার টাইমলাইন
- কার্ভ স্পিড
- গ্রীন স্কিন/ক্রমা কি
- কি ফ্রেম এনিমেশণ এবং কার্ভ
- মাস্ক
- পজেক্ট শেয়ারিং সাপোর্টেড
ব্রাকগ্রাউন্ড-
- নিজের মিউজিক এড করার সুযোগ
- মিউজিক এর রিধম তৈরি করার সুযোগ
- বিটস ক্লিপস এর সাহায্যে খুব দ্রত কাজ করা
- মাল্টিমিডিয়া সাউন্ডট্রেক এবং এডজাস্ট ডিউরেশন সাপোর্টেড
- ফ্রি ড্রাইভাস স্টাইলের মিউজিক
আসাধারণ ভিডিও এফেক্ট-
- চেন্জিং ভিডিও স্প্রিড ফ্রিলি সাপোর্ট করে
- অসংখ্য ট্রানসেকশন ভিডিও ফুটেজের জন্য
- ইম্পর্ট এল ইউ টি ফিল্টার সাপোর্ট করে
- ক্লিপ ক্রিয়েটার হিসেবে এভাটরের ব্যবহার
পাওয়ারফুল সাবটাইটেল টুল-
- এড টাইটেল স্লাইডস, টেক্টস ওভারলি টাইমলাইনে
- ফন্ট পাল্টানো, কালার পাল্টানো, , সাবটাইটেল এর সাইজ পাল্টানো
- সাবসিটিউড এর ডিউরেশন এজাস্ট করার সুযোগ
- VN কোডের ব্যবহার
VN video editor ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটির ডেবোলপার হলে VN, LLC. VN video editor আপনারা যেকোনো সমস্যর জন্য আপনারা তাদের সাথে কন্টেক করতে পারবেন।
আর আপনি যুদি সকল প্রকার নতুন বিষয় এর ব্যপারে আপনডোটেড থাকতে চান তবে আপনারা তাদের ইউটিউব, ডিসকোড, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টেলিগ্রাম এমনকি তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটের সাথেও সংযুক্ত হতে পারবেন।
২. ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার – VLLO

ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার – VLLO কোনো দিক দিয়ে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার – VN video editor থেকে কম যায় না। এ সফটওয়্যারটি ডেবোলপ করেছে vimosoft. এ সফটওয়্যারটি একদম ফ্রি এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার – VN video editor মতোই খুবি পাওয়ার ফুল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
এর বিষেশ্বত্ব হলো এ সফওয়ারটির দ্বারা হাই রেজুলেশন 4k রেজুলেশনের ভিডিও তৈরি করা যায় যা অন্য সব এনড্রোয়েড সফটওয়্যারে দেখা যায় না।
VLLO এর ফিচার গুলো দেখুন
- ভিডিও যুম ইন এবং আউট উইঠ টু ফিঙ্গার
- কি-ফ্রেমে এর ব্যবহার
- পিন ব্লর অথবা পিক্সেল মস্ক ভিডিওর কোনো অবজেক্টকে নারানোর জন্য
- ক্লিপ এডিটস, যেমন ট্রিম, স্প্রিলিট, স্প্রিট, রিভার্স, রিএরেন্জমেন্ট এবং এডিশনাল ভিডিও এড অথবা ছবি
- রিফাইন্ড ভিডিও তৈরি ভিবিন্ন ধরণের ফিল্টার ব্যবহার করে
- পিপ এর সাহায়ে ভিডিওতে অন্য ক্লিপ বা গ্রিপ এড দেওয়ার সুযোগ
- হাই রেজুলোশণ 4k ভিডিও তৈরি
রয়েলটি ফ্রি মিউজিক এবং সাউন্ড এফেক্ট:
- ২০০রেরও বেশী রয়েলটি ফ্রি মিউজিক ভিন্ন ভিন্ন টোন এর সাথে
- আপনি চাইলে আপনার মিউজিক ইম্পোট করে নিতে পারবেন
- প্রফেশনাল দের মতো কাজ করার সুযোগ মিউজিক এর ফেড ইন আর আউট ফিচারন দিয়ে
- আপনি প্রডিউস করতে পারবেন রিচার সাউন্ড ৪৫০ এরও বেশী সাউন্ড এফেক্ট অপশন দিয়ে
- ভিডিও এডিট করার সময় শুধু মাত্র একটা ক্লিক এর সাহায্যে আপনি ভয়েস রেকড করে নিতে পারবেন
স্টিকার লেভেলস এবং টেক্সট এড:
- প্রতি সিজনে নতুন নতুন স্টিকার এবং মুবিং টেক্সট আপডেট করা হয়
- ২২০০ কেটাগরিরর ও বেশী কালেকশন
- টেক্সট গুলো এবং স্টিকার গুলো ভেক্টর ফরমেটে থাকে যার কারণে আপনার ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হয়
- আপনি আপনার প্রয়োজনীয় স্টাকারগুলো চাইলে পিন করে রাখতে পারবেন পরে ব্যবহার করার জন্য
- আপনি চাইলে আপনার নিজের টেস্কট স্টাইল তৈরি করে নিতে পারবেন এনিমেশন ব্যবহার করে আরও অনেক কিছু ব্যবহার করে
আরও কিছু ফিচার:
- সে সব ভিডিও যেগুলোর উপর আপন কাজ করবেন মাই পজেক্টে সেভ হয়ে থাকবে
- আনলিমিটেন আনডু আর রিডু ফাংকশন যা আপনার কাজকে রিস্টোর করতে সাহায্য করে
- আপনি চাইলে আপনার ভিডিও পিভিউ করে নিতে পারবেন ফুল স্কিনে
- এটিতে গ্রাইড ফাংশন করা আছে যার কারণে আপনি আপনার ভিডিওর রেশিও খুব সহজেই চেক করে নিতে পারবেন
- মেগনেটিক ফাংশনের সাহায়ে অটোমেটিক পজিশন সেটং গ্রাইড অনুসারে সম্ভব
- ভিডিওতে কোনো ওয়াটার মার্ক থাকবে না এমনকি আপনি যুদি তাদের কোনো প্লেন না কিনে রাখেন
কোনো প্রকার প্লেন না কিনলে আপনি VLLO ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটির কিছু ফাংশন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে সীমীতে পরিসরের মধ্যে আপনি বেশ ভালো একটা ভিডিও মোবাইল থেকে VLLO অ্যাপ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন। আর ফ্রি ভার্সন দিয়েও আপনি একটা প্রফেশনাল ভিডিও বানিয়ে নিতে পারবেন।
৩. ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার BeeCut

BeeCut ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডেবোলপ করেছে APOWERSOFT LIMITED. সফটওয়্যারটি একেবারে ফ্রি আর আপনাকে এর বাকি ফিচার গুলে ব্যবহার করার জন্য কোনো প্লেন কিনতে হবে না।
BeeCut হলো এমন একটি অ্যাপ যেটি ডিজাইন করা হয়েছে স্পেশাললি বিগেইনারদের জন্য। এটা যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে একটা ভালো মানের ভিডিও মেক করারা জন্য। এর আছে ইনটুটিভ ইউজার ইন্টারফস।
BeeCut অ্যাপটিতে কোনো প্রকার জটিল সেটিং রাখা হয় নি সুতরাং ব্যবহার কারী খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবে।
BeeCut এর ফিচার গুলো দেখুন
- BeeCut হলো এমন একটি অ্যাপ যেটি ডিজাইন করা হয়েছে স্পেশাললি বিগেইনারদের জন্য। এটা যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে একটা ভালো মানের ভিডিও মেক করারা জন্য। এর আছে ইনটুটিভ ইউজার ইন্টারফস। BeeCut অ্যাপটিতে কোনো প্রকার জটিল সেটিং রাখা হয় নি সুতরাং ব্যবহার কারী খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবে।
- BeeCut এর ফিচারগুলো দেখুন
- ফ্রেম দ্বারা ভিডিও কেটে নিতে পারবেন আর শুধু মাত্র এক ক্লিকেই আনওয়ান্টেড ইন্ট আর আউটট্রো কেটে দিতে পারবেন
- এটি আপনাকে অফার করে হাইকোয়ালিটির ক্রাফ্টেড ফিল্টার যার সাহায্যে আপনি আপনার মোবাইল থেকে বিনা ওয়াটার মার্করেখে একেবারে ফ্রিতে হাই কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন
- এটি আপনতে এলাউ করে ভিবিন্ন প্রকার ভিভিড এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে যার কারণে আপনি ইমেইজ থেকে খুব সহজেই ভিডিও করে নিতে পারবেন
- আপনি আপনার ফটোর ডিউরেশেন চেন্জ করতে পারবেন যে কোনো ভাবে
- আউটপুটিং সাপোর্ট করে 1080p, 720p,এবং 480p.
BeeCut এর প্রয়োগ দেখুন
- ইডুকেশন কন্টেন্ট
- প্রগামিং ইন্টুডাকশন
- সর্ট ভিডিও এড
- ফিল্ম এডিটিং
- প্রমোশনাল মেটেলিয়াল
- ট্রেনিং কনফারেন্স
- ওয়েডিং এনিভারসিটি
BeeCut দিয়ে আপনি আপনার ভিডিও প্রফেশনাললি তৈরি করে নিতে পারবেন খুব সহজেই আর একদম ফ্রিতে।
৪. ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার YouCut

YouCut হলো একটা অসাধারণ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেটি ইউটিউব ভিডিও এবং আন্যান্য সোসাইল সাইটের ভিডিও মেক করার জন্য আসাধারণ বাছাই।
এটা একদম ফ্রি এতে কোনো ওয়াটার মার্ক নেই।
YouCut এর ফিচার গুলো দেখুন
- ফ্রি মুভি মেকার এবং ভিডিও এডিটর
- ভিডিও মার্জার এবং ভিডিও জয়িনার
- ভিডিও স্পিলিটার এবং ভিডিও স্লাইসার
- ভিডিও স্প্রিড কন্টোল
- ফটো স্লাইড সো
- কোনো ওয়াটার মার্ক নেই
- এড মিউজিক টু ভিডিও
- ভিডিও ফিল্টার এবং এফ এক্স ইফেক্ট
- ভিডিও কালার এডজাস্ট
- চেন্জ ভিডিও এস্পেক্ট রেশিও
- চেন্জ ভিডিও ব্যকগ্রাউন্ড
- ভিডিও কম্পেসার এবং কনভারটার
- রোটেট ভিডিও ৯০%
- ফ্রিপ ভিডিও
- ভিডিও ক্রপার
- ভিডিও শেয়ার
এর পয়েন্টগুলো আমি এতটা ডিটেইলে বলিনি। তবে আপনি ব্যবহার কলে বুঝতে পারবেন সুত্যিই অসাধারণ একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার for ডেস্কটপ

ডেস্কটপের জন্য ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুজে বের করাটা আসলে খুবি কঠিন একটা কাজ। কারণ প্রয় সবসমই ডেক্সটপে ইউজ করার বেশীর ভাগ অ্যাপই টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে তার পর এক্টিভেট করে নিয়ে তার পর ইউজ করতে হয়।
তবে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো ডেস্কটপে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে ফ্রিতে তো ব্যবহার করা যায় কিন্তু সেক্ষেত্রে দেখা আপনাকে কিছু বিষেশ ফিচার থেকে বাধাদেওয়া হচ্ছে আর আপনার প্রত্যেকটা ভিডিওতে ওয়াটার মার্ক দিয়ে দিচ্ছে।
যার কারণে আপনি ভিডিও এডিটিংএ দক্ষ হয়েও প্রফেশাল ভিডিও মেক করতে পারছেন না।
আজ আমি তুলে ধরবো এমন চারটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যে গুলো আপনি পিসিতে ব্যবহার করতে পারবেন একদম ফ্রিতে আর আপনার এডিট করা ভিডিওতে কোনো প্রকার ওয়াটার মার্কও থাকবে না।
১. ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার VSDC Windows

VSDC Windows ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি তে আপনারা পেয়ে যাবেন অসংখ্য টুলস ভিডিও এডিটিং এর জন্য, সাউন্ড ইম্প্রুভিং এর জন্য, ভয়েস ওভার রেকোডিং, কেপচারিং ডেস্কটপ স্ক্রিন, এবং আরও অনেক কিছু। VSDC সফটওয়্যারটির ইউজার সংখ্য হলো ৫ মিলিয়ন।
VSDC Windows এর ফিচার গুলি দেখুন
- সব ধরণের পপুলার ভিডিও/অডিও ফরমেট এবং কোডেক্স সাপোর্টেড
- শক্তিশালি ক্রমা কি টুল গ্রীন ব্রাকগাউন্ড রিমুভ করার জন্য
- ট্রেন্ডির একটা বিশাল সেট ভিডিও এফেক্ট এবং ট্রানসসিশন
- প্রয়োজনীয় টুল যেমন যুম, চার্টস, ৩৬০ ডিগ্রি ভিডিও এডিটিং, এবং কালার কোরেশন
- কনভেনিয়েণ্ট এক্সপার্ট প্রফাইল যা ভিবিন্ন ডিভাইসে ভিডিও সেভ করতে সাহায্য করে
- লো সিস্টেমেও VSDC কাজ করে – উদাহরণ স্বরুপ আউট আপডেটেড পিসি
মজার ব্যপার হলো এটি একটি ননলাইনার প্রগ্যাম। যার কারণে খুব সহজেই পিকচার-ইন-পিকচার এফেক্ট, স্পিলিট-স্কিন এফেক্ট, অব্জেক্ট চেন্জ এপারেন্স অথবা পজিশণ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে প্লে-ব্যক এর সময়।
আমি এর পেইড ননপেইড দুই ভার্সনেই যে বিষয় গুলো দেখতে পাবেন:
- নন লাইনার ভিডিও এডিটর
- ভিসুয়াল এবং অডিও এফেক্ট
- ব্রেন্ডিং মোডস এবং ইন্সটগ্রাম লাইক ফিল্টার
- মাস্কিং
- মোশণ ট্রেকিংৎ
- ইজি এক্সপোর্ট টু সোসাইল নেটওয়ার্ক
- সাব পিক্সেল একুরেসি
- 4K এবং এইচ ডি এক্সপোর্ট
- ভিডিওর ক্রিয়েশন আলাদা আলাদা মাল্টিমিডিয়া ডিভাইসের জন্য
- চার্ট দিয়ে কাজ করা
- ভিডিও লাইব্রেরি
- ভিডিও স্টেবিলাইজেশন টুল
- ইউটিউব আপলোডার
- বিল্ডি ইন ডিভিডি বার্ননিং টুল
- ভিডিও ফাইল কনভার্টার
- ডেক্সটপ ভিডিও কেপচার
- ভিডিও কেপচারিং বিভিন্ন টারনাস থেকে
VSDC এর একটি প্লেন আছে সটি হলো VSDC pro. VSDC pro ব্যবহার কারীদের একটু বেশী ফিচার দেওয়া হয়। আপনি চাইলে কিনে নিতে পারবেন আবার নাও নিতে পারবেন কারণ VSDC এর ফ্রি ভার্সনই বেশী খ্যত।
VSDC শুধু মাত্র উইন্ডোজের জন্য প্রগ্যাম করা এবং তাই একে লিনাক্স বা ম্যাক এ ব্যবহার করা সম্ভব না।
২. ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার OpenShot

OpenShot যিনি ডেবোলপ করেছে তার নাম জোহানথান থমাস, যিনি ইউ এস এর নর্থ টেক্সাসের একজন সফটওয়্যার ডেবোলপার। ২০১২ সালে OpenShot Studios, LLC সফটও্যারটি নিয়ে নেয় আর এ নতুন কম্পানি OpenShot এর মালিক হয়।
এতে মজার বিষয় হলো এ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটেতে বেশীর ভাগ 3D এফেক্ট নেওয়া হয়েছে পপুলার 3D অ্যানিমেশণ ক্রিয়েটিং এবং একই সাথে ফ্রি সফটওয়্যার Blender থেকে।
এ ফ্রি সফওয়ারটিতে আপনি 3D অ্যানিমেশনের কাজও করে নিতে পারবেন। আর এটা উইন্ডোজ, মেক, লিনাক্স তিনটি অপারেটিং সিস্টেমেই সাপোর্টেড।
OpenShot এর ফিচার গুলি দেখুন
- ক্রস প্লাটফরম ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- লিনাক্স, মেক, এবং উইনডোজ এ তিনটি আপারেটিং সিস্টেমেই এটি ব্যবহার করা যায়
- ভিডিও, আড্রি এবং ইমেইজ ফরমেট সাপোর্ট করে
- শক্তিশালী কার্ভ বেসড কি ফ্রেম অ্যানিমেশণ
- ডেক্সটপ ইন্টার গ্রেশন
- ড্রাগ এবং ড্রপ সাপোর্টেড
- আনলিমিটেড ট্রেকস/ লেয়ার
- ক্লিপ রিসাইজিং, স্কেলিং, ট্রিমিং, স্নেপিং, রোটেশন, এবং কাটিং
- ভিডিও ট্রানসিশন উইথ রিয়েল টাইম প্রিভিউস
- কম্পসিটিং, ইমেজ অভারলি, ওয়াটার মার্ক
- টাইটেল টেম্পেলেট, টাইটেল ক্রিয়েশন, সাব টাইটেল
- 3D অ্যানিমেটেড টাইটেল এবং এফেক্ট
- এডবেন্সড টাইমলাইন যার মথে অপশন থাকে ড্রাগ এবং ড্রপ, স্ক্রলিং, প্লেনিং, যুমিং, এবং স্নেপিং
- ফ্রেম একুরেসি
- টাইম ম্যাপিং এবং স্প্রিড চেন্জ অন ক্লিপ
- অডিও মিক্সড এবং এডিটিং
- ডিজিটাল ভিডিও এফেক্টস
- এবং আরও অনেক ফিচার
OpenShot লেখা হয়েছে কিছু ভিন্ন ভিন্ন লেঙ্গুইজ দিয়ে। এর ইন্টারফেস লেখা ডিজাইন করা হয়েছে পাইথন দিয়ে এবং পাইকিউটস দিয়ে। আর এর ভিডিও বেকেন্ড তৈরি করা হয়েয়ে সি++ এবং এফ এফ এম পেজদিয়ে। এর ড্রাগ এবং ড্রপ টাইমলাইন তৈরি করা হয়েছে এইচ টি এম এল 5 জাবাস্ক্রিপ্ট, এবং এঙ্গুলাজরস দিয়ে।
আমাদের সাইট থেকে আরও পড়ুন: