Android Apps Review Website

আজই জেনে নিন বিড়াল পোষার উপকারিতা

learn about cat

ইসলামে বিড়ালকে একটি পবিত্র প্রাণী বলা হয়েছে। আজ আমরা আমাদের ”আজই জেনে নিন বিড়াল পোষার উপকারিতা” এ লেখাটিতে হাদিস সহকারে এটি তুলে ধরবো যে বিড়াল আসলে কততা উপকারি।

বিড়াল খুবি আদুরে একটি প্রাণী। বিড়াল মানুষের স্পর্শে থাকে বেশী পছন্দ করে। আর বলাহয় পূথিবীতে সবচেয়ে অলস আর আরাম প্রিয় প্রাণী হলো এই বিড়াল।

ইসলামে কুকুর পোষনে নিষেদ দিলেও বিড়াল পোষন যথেষ্ঠ সম্মতি দেওয়া হয়েছে। আর তাছারা আবু হোরায়রা (রা:) বিড়াল পোষতেন আর তাই তার ডাকনাম হয়ে গেছিল আবু হোরায়রা ততে তবে উনার আসল নাম অন্যই ছিল।

ইসলামে আবু মানে হলো পিতা আর আবু হোরায়রা মানে হলো বিড়ালের পিতা বা পালক। তবে একটি শব্দের আনেক অর্থ হতে পারে আর তাই বলা যায় আবু হোরায়লা মানে হলো বিড়ালের পালক।

চলুন তাহলে জেনেনেই বিড়াল পালন নিয়ে হাদিস এবং বিড়াল পালন নিয়ে বিজ্ঞান কী বলে।

সূরা ইয়াসিন মন জুরানো তেলাওয়াত শুনুন আর পিডিএফ ডাউনলোড করুন

বিড়াল পোষনে ইসলামের কথা

ইসলামে বিড়াল পোষন জায়েজ করা হয়েছে তবে হালাল না। এ কথাটি বলার কারণ হল কিছু প্রকার মুসলিম আছে যারা বিড়াল খেয়ে থাকে তাদের উদ্দেশ্য করে।

বিড়াল পোষন করা নিয়ে একটি হাদিস:

একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য আযাব (শাস্তি) দেয়া হয় এজন্য যে, সে বিড়ালটিকে আটকে রেখেছিল, পরিশেষে সেটি মারা গেল। যার জন্য সে জাহান্নামে গেল। যে মেয়ে লোকটি বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছে, নিজেও পানাহার করায়নি আর সেটিকে সে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে।

সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৪৫,অধ্যায়ঃ সালাম (كتاب السلام)-পরিচ্ছদঃ বিড়াল হত্যা করা হারাম-হাদীস একাডেমী

সুতরাং আপনি যুদি কোনো বিড়ালকে পালন পোষন না করতে পারেন তবে তাকে কস্ট দিবেন না। তাকে এমন কোনো জায়গায় ছেরে দিন যেখানে সে নিজের খাবার নিজে স্বিকার করে নিজে বেচে থাকতে পারবে।

আর যুদি কোনো বিড়াল আপনার খাবার প্রতিদিনই নষ্ট করে বা কোনো ক্ষতি করে তবে তাকে ধরে দুরে কোথও নিয়ে ছেরে দিন যাতে সে নিজের খাবার নিজে স্বিকার করে বেচে থাকে পারে।

সূরা ওয়াক্কিয়া পিডিএফ এবং অডিও ডাউনলোড করুন

আর একটা কথা ইসলামের কোথাও বিড়াল হত্যা নিয়ে কোনো প্রকার সম্মতি দেওয়া হয় নি আর বিড়ার হত্যা করা যাবে না। কারণ বিড়ার হত্যার জন্য একজন মহিলাকে জাহান্নামে প্রেরণ করা হয়েছিল।

হজরত কাবশা বিনতে কাব ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হজরত আবু কাতাদা (রা.) আমার নিকট আগমন করলেন। আমি তার জন্য পানিভর্তি একটি উজুর পাত্র উপস্থিত করলাম। এমন সময় একটা বিড়াল তা হতে পান করল। তিনি ঐ বিড়ালটির জন্য পাত্রটি কাত করে দিলেন, যাতে সে পান করতে পারে। কাবশা (রা.) বলেন, তখন আবু কাতাদা (রা.) দেখলেন, আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। তিনি বললেন, ‘হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্য বোধ করছ? আমি বলাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এরা (বিড়াল) অপবিত্র নয়, এরা তোমাদের আশেপাশে বিচরণকারী এবং বিচরণকারিনী।’ (সুনানে নাসাই: ৩৪১)

সূনান নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা (كتاب الطهارة) | হাদিস নাম্বার: ৬৮

সুতরাং বিড়াল এককোনো খাবারে যদি বিড়াল মুখ দেয় আর খাবারের মালিক ধনী হয় তাহলে ওই খাবার খাওয়া তার জন্যে মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। আর খাবারের মালিক যদি দরিদ্র হয় তাহলে তার জন্যে খাবারটি খাওয়া জায়েজ। (ফতওয়ায়ে আলমগিরি: ৪৩: ১)

দোয়া আয়াতুল কুরসি পিডিএফ ডাউনলোড এবং অডিও

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বিড়াল পালন খুব পছন্দ করতেন। একারণে তার আসল নাম আব্দুর রহমান ঢাকা পড়ে হয়ে যায় আবু হুরায়রা (বিড়ালের পিতা)। রাসুলুল্লাহ (সা.) তার বিড়ালপ্রীতির কারণে এ নামেই তাকে ডাকতেন।

দয়াবানদের ওপর দয়াময় আল্লাহও দয়া করেন। তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।

(সুনান আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৪১)

জেনেনিন দোয়া আয়াতুল কুরসি আর চার কুল পাঠের উপকারিতা

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! পশুপাখিদের মধ্যেও কি আমাদের জন্য সওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, “প্রতিটি তাজা কলিজায় সওয়ব রয়েছে।

’(বুখারি, হাদিস : ৩৪৬৭; মুসলিম, হাদিস : ২২৪৫)

বিড়াল পোষনে বিজ্ঞান যা বলে

বিড়াল বিভিন্ন ভাবে মানুষের উপকারে আসে। আসে পাশের ক্ষতিকারক পোকামাকর মেরে সে ক্ষতিকর প্রাণীর ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করে।

বিজ্ঞান তুলে ধরেছে বিড়াল পোষনের উপাকারিতা:

মানুষিক প্রশান্তি বাড়ায় বা ড্রিপেশন কম করে

বিজ্ঞানির বিড়াল নিয়ে পরিক্ষা করে দেখেছে যে বিড়াল তার শরিলে এমন এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বহন করে যে ব্যাক্টেরিয়াগুলো মানুষেল শরিরের ডিপ্রেশণ শুষে নেয়। আর তাই যে মানুষ গুলো বিড়াল পালন করে তারা বেশী হাসি খুশি আর চনমনে থাকে।

আর তাছারা তাদের মধ্যে রাগের পরিমান খুবি কম থাকে। আর মানুষি ভাবে সুস্থ থাকায় বিড়ারের পোষকদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুকি খুবি কম হয়ে যা।

বিশ্বের বড় বড় দেশ গুলোতে জেলখানায় বেড়াল পোষন করা হয়। কারণ এতে করে কয়েদিরা নিজেদের খুবি রিলেক্স আর ড্রিপেশন মুক্ত মনে করে।

তাছারা বিড়ালের সংস্পর্শে থাকতে থাকতে অনেক কয়েদির মানুষিক চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন দেখা গেছে।

আর যারা বিড়ালের সংস্পর্শে থাকে তাদের তারে রাখ আবং উদ্বেগ খুবি কম থাকে যেটা সত্যিই একটা খুবি ভালো দিক।

বিড়াল প্রাকৃতিক থেরাপিস্ট

বিড়াল প্রণিটিকে প্রাকৃতিক থেরাপিস্ট বলা হয় কারণ চিকিৎসা সাস্ত্রে বলা হয়ে থাকে ১৮ থেকে ৩৫ হার্জ এর শব্দ তরঙ্গ পেশী ও অস্থির আঘাত নিরাময়ে থেরাপির মত কাজ করে।

আর গবেষণা থেকে দেখা গেছে বিড়াল যে মিউ মিউ শব্দতি করে থাকে তার শব্দ তরঙ্গ ২০ থেকে ১৪০ যা সত্যিই একটি প্রাকৃতিক থেরাপি।

আর তাই কিছু কিছু দেশের বড় বড় হাসপাতালে বিড়াল পোষন একটি চর্চ্চার রুপ ধারণ করেছে। আর তাই বাইরের দেশের হাসপাতালে কেবিন গুলোতে প্রায়ই বিড়াল ঘোরতে দেখা যায়।

অনিদ্রার প্রতিষেক বিড়াল

পরিক্ষা করে দেখা গেছে যে বিড়ালের মিউ মিউ শব্দে ঘুম ভালো হয় যুদিও অনেকে একে বিরক্তিকর মনে করে থাকে তবে পরিক্ষায় ৭০ শতাংশ লোকই বলেছে তাবিড়ালের মিউ মিউ আওয়ে ঘুম ভালো হয় আর ৩০ শতাংশ বলেছে এটা বিরক্তকর।

সুতরাং আপনার ভালো ঘুমের জন্য বিড়াল সাথে রাখতে পারেন। বিড়াল যেমন আরম পাবে আনারও ভালো ঘুম আর ডিপেশন কম হয়ে যাবে।

শিশুর এলার্জি হওয়ার ঝুকি কমায়

বৈজ্ঞানিন পরিক্ষায় দেখা গেছে যেসব শিশুরা বিড়াল পোষন করে তাদের এলার্জি হওয়ার ঝুুকি খুব কম থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা

উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বিড়াল পোষার মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের পোষ্য বিড়াল রয়েছে তাদের উচ্চ রক্তচাপ নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের, এমনকি সাধারণ জীবনযাপন করা ব্যক্তিদের চেয়ে তুলনামূলক কম।

জিনেদের সাথে লরাই

বিড়াল হলো এমন একটি প্রাণী যাকে দেখে জিনেরা ভয় পেয়ে থাকে। বলাহয় বিড়ালের সরিতে জিনেদের সাতে লরাই করার ক্ষমতা আছে।

আর তাই যে বাসায় জিনেদের বা কোনো অশরিরির প্রকোব আছে সে বাসায় বিড়ার পোষন খুবি ভালো বিষয়।

এছারাও বিড়াল মানুষের আরও আনেক উপকারে আসে। আপনি যুদি ইচ্ছে করেন তবে আপনি বিড়াল পোষন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন আপনার বিড়ালটি যেন কোনো প্রকার কস্টে না থাকে বা সে যেন সময় মতো নিজের খাবার পায়।

আর চেষ্টা করবেন বিড়াল সাথে নিয়ে ঘুমানোর আপনার অজান্তে আপনার অনেক রোগে প্রতিষেধক আপনার বিড়ালটি আপনর শরিলে করে দিবে।

উচ্চরক্তচাপ, হারে ব্যাথা, ড্রিপ্রেশন আর নানা রকম সমস্যা থেকে আপনার অজান্তে আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন আথচ আপনি টেরও পাবেন।